বখাটের অত্যাচারে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা ঘটনা ধামাচাপার অপচেষ্টা, মামলা নেয়নি মুরাদনগর থানা

কুমিল্লা নিউজ।।বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ
হয়ে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার
বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া
ডিগ্রী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের
ছাত্রী ও ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর
গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে
ইসরাত জাহানের আত্মহত্যার প্রকৃত ঘটনাটি
একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দেওয়ার
অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এক
সহপাঠীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
করলে মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে
জিডি হিসেবে অভিযোগটি লিপিবদ্ধ করার
অভিযোগ উঠেছে মুরাদনগর থানা
পুলিশের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায়
ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা
দিয়েছে। এ আচরণে পুলিশের ভাবমূর্তি
নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
জানা যায়, উপজেলার বাঁশকাইট কলেজের
মানবিক শাখার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও
পরমতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামের প্রবাসী
জসিমউদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসানের
সঙ্গে ইসরাত জাহানের প্রেমের
সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাদে দু’জন
বিভিন্ন জায়গায় ছবিও তোলে। গত
কয়েকদিন আগে ইসরাত জাহান তার
সম্পর্কের বিষয়টি পরিবার মেনে
নেবে না বলে জাহিদ হাসানকে জানায়।
এতে ক্ষীপ্ত হয়ে জাহিদ হাসান
জোরপূর্বক কলেজ ভবনের ছাদের
উপর নিয়ে ইসরাত জাহানকে লাঞ্ছিত
করে। তখন জাহিদ হাসান তার সঙ্গে
সম্পর্কের কথা এবং একসঙ্গে তোলা
ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়ে
দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি জানতে
পেরে ইসরাত জাহানের মা সেলিনা
আক্তার কলেজে গিয়ে জাহিদ হাসানের
সঙ্গে দেখা করে তার মেয়ের ক্ষতি
না করার জন্য মিনতি করেন। এতেও মন
গলেনি জাহিদ হাসানের। সে ইসরাত
জাহানকে দেখে নেবে এবং কোথায়
কিভাবে বিয়ে দেয়, তা দেখবে বলে
হুমকি দেয়। এ হুমকির ফলে ইসরাত জাহান
গত বুধবার দুপুরে নিজ ঘরে গায়ে
কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে
দেয়। তার চিত্কারে আশেপাশের
লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থা আশংকাজনক
দেখে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে
চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইসরাত জাহানের
মৃত্যু হয়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ
এলাকায় এনে বখাটে জাহিদ হাসানের
বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য বৃহস্পতিবার
দুপুরে মুরাদনগর থানায় যান ইসরাত জাহানের
স্বজনরা। তখন পুলিশ মামলার পরিবর্তে
জিডি করে তাড়াতাড়ি লাশ দাফন করার কথা
বলে থানা থেকে বিদায় করে দেয়।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর
রহমান জানান, জিডি হয়েছে, এতে
কোনো সমস্যা নেই। যদি এ ঘটনায়
কেউ মামলা করতে চায় তাহলে থানায়
পাঠিয়ে দেন, মামলা নেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ